খুলনার বাজারে শীতের সবজির দাম নাগালের বাইরে

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: খুলনার বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি বাজারে এলেও দাম নাগালের বাইরে। এসব সবজির জন্য গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন টাকা। তবে শীতের সবজির আগমনে বাজারে আগে থেকে বিক্রি হওয়া সবজির দাম অনেক কমে গেছে। একইসঙ্গে কিছুটা কমেছে মাছের দামও।

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হওয়া মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

খুলনার ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার, নিরালা বাজার, নিউ মার্কেট কাঁচা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে খুলনার বাজারগুলোতে বেশ আলোচনায় ছিল কাঁচা মরিচের দাম। এ সপ্তাহে সেই স্থান দখল করেছে শীতের সবজি ফুলকপি। ১৫০-২০০ টাকা দর চাওয়া হচ্ছে এই সবজি।

মরিচের দাম কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমে যায় মরিচের। দ্রুত পঁচনশীল হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী মরিচ কিনে লোকসানের মুখে পড়েন। ফলে তারাও কম করে কিনে তা খুচরা বিক্রি করেন। এতে উৎপাদনকারীরাও পড়ে যান বিপাকে। বাধ্য হয়ে তারাও মরিচের দাম কমিয়ে দেন।

টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরে মরিচ বিক্রি করতে গিয়ে বেশ লোকসান হয়েছে। তাই আজ আর মরিচ আনা হয়নি।

রূপসা বাজারে সবজি বিক্রেতা সাগর হাওলাদার বলেন, এখন বাজারে পেঁপে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বরবটি ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা, বেগুন ১০ টাকা কমে ৮০ টাকা, পটল ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, কুচ ৬০ টাকা, কুশি ৪০ টাকা, ঝিঙে ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, উচ্ছে ২০ কমে ৬০ টাকা, ৪০ টাকা বেড়ে টমেটো ১২০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, কাগজি লেবু হালি ৩০ টাকা এবং যে কোনো প্রকার শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে সবজির দাম কম হওয়ার পাশাপাশি মাছের দামও কিছুটা নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন বাজারে যতদিন ইলিশের আমদানি থাকবে ততদিন অন্য মাছের দাম কম থাকবে।

নগরীর জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা নেয়ামত বলেন, বর্তমানে বাজারে তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, রুই ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, কাতলা, মৃগেল ২২০ টাকা, ভেটকি মাছ ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা ৬০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩০০ টাকা, পাঙাশ মাছ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এছাড়া যেকোনো ধরনের চিংড়ি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করছি।

একই বাজারের আরেক মাছ বিক্রেতা নান্টু বলেন, দেশি প্রজাতির মাছের সঙ্গে বাজারে সাগরের মাছের বিক্রিও বেশ বেড়েছে। টুনা, বোতল, শাপলাপাতা মাছ এখন খুব কম দামেই বিক্রি হচ্ছে।